Department of Hifzul Quran
১. হিফযুল কুরআন বিভাগ:
এই বিভাগটি ৫টি পৃথক শাখায় বিভক্ত করে ৩টি স্তুরে পর্যায়ক্রমে সমাপ্ত করা হয়।
৫টি শাখা:
১. কায়দা বিভাগ:
২. আমপারা বিভাগ:
৩. নাজেরা বিভাগ:
৪. হিফয বিভাগ:
৫. শুনানী বিভাগ
৩টি স্তর: যার মাধ্যমে হিফযুল কুরআন বিভাগ পরিচালিত হয়।
১। নূরাণী (কুরআন ও তাজবীদ বিভাগ)
২। নাযেরা (দ্রুত পঠন বিভাগ)
৩। হিফয ও শুনানী বিভাগ।
১। নূরাণী (কুরআন ও তাজবীদ বিভাগ):
এই বিভাগে নূরাণী অর্থাৎ আরবি হরফ, হরকত, যুক্তবর্ণ পড়া ও লেখা, তিলাওয়াতের জন্য জরুরী তাজভীদ সমূহ, মাসনুন দোয়া, প্রয়োজনীয় মাসআলাহ, সলাতের জন্য প্রয়োজনীয় সুরা-ক্বিরাত, দোয়া হাদীস সহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা দেয়া হয়। এই বিভাগ সফলভাবে সমাপ্ত করতে পারলে শিক্ষার্থী সহীহ-শুদ্ধভাবে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবে ইংশাআল্লাহ। প্রতিটি বিভাগে শিক্ষার্থীকে কুরআনের পাশাপাশি জেনারেল বিভাগে শ্রেণি ভিত্তিক বাধ্যতামূলক লেখাপড়া করতে হবে।
অর্জিত শিখনফল:
- তাজভীদ সহ সহীহ কুরআন তিলাওয়াত শিখবে।
- আরবি হাতের লেখা শিখবে।
- জরুরী মাসআলাহ ও মাসায়েল শিখবে।
- দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত মাসনুন দোয়া সমূহ শিখবে।
- সালাত আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় সুরা সমূহ শিখবে।
- সালাত আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় দোয়া ও তাজবীহ সমূহ শিখবে।
- বিষয় ভিত্তিক প্রয়োজনীয় হাদিস অর্থসহ শিখবে।
- বিষয়ভিত্তিক প্রয়োজনীয় কুরআনের আয়াত অর্থসহ শিখবে।
- আল্লাহর গুণবাচক ৯৯ নাম শিখবে।
- ইসলামি সাধারণ জ্ঞান শিখবে।
২। নাযেরা (দ্রুত পঠন বিভাগ)
নূরাণী বিভাগ সফলভাবে সম্পন্ন হলে শিক্ষার্থীদেরকে নাযেরা বা দ্রুত পঠন বিভাগে উত্তীর্ণ করা হয়। এই বিভাগে প্রথমেই পবিত্র কুরআনের ৩০ নম্বর পারা (আমপারা) পড়ানো হয়। এবং ছোট ছোট সব সুরাগুলো মুখস্ত করাসহ তাজভীদগুলো ঠিক সঠিকভাবে ব্যবহার করা শেখানো হয়। ৩০ নম্বর পারা শেষ হলে পবিত্র কুরআনের বাকি ২৯ পারা পর্যায়ক্রমে পড়ানো হয়। সফলভাবে কয়েকবার নাযেরা শেষ করলে- হিফয বিভাগে পড়ার উপযোগী হলে, পরবর্তী বিভাগে উত্তীর্ণ করার পূর্বে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সংগে আলোচনা করা হয়। আলোচনা শেষে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর মতামতের ভিত্তিতে হিফয বিভাগে প্রোমোশন দেওয়া হয়। প্রতিটি বিভাগে শিক্ষার্থীকে কুরআনের পাশাপাশি জেনারেল বিভাগে শ্রেণি ভিত্তিক বাধ্যতামূলক লেখাপড়া করতে হবে।
অর্জিত শিখনফল:
- তাজভীদ সহ সহীহ কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবে।
- দ্রুত পঠন (দ্রুত গতিতে শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করে হিফয করার উপযোগি হবে।
- পবিত্র কুরআনের ৩০ নম্বর পারা হিফয করবে।
- সব ধরণের আরবি পড়া শিখবে।
- জরুরী মাস'আলাহ ও মাসায়েল শিখবে।
- দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত মাসনুন দোয়া সমূহ শিখবে।
- সালাত আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় সুরা সমূহ শিখবে।
- সালাত আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় দোয়া ও তাজবীহ সমূহ শিখবে।
- বিষয় ভিত্তিক প্রয়োজনীয় হাদিস অর্থসহ শিখবে।
- বিষয়ভিত্তিক প্রয়োজনীয় কুরআনের আয়াত অর্থসহ শিখবে।
- আল্লাহর গুণবাচক ৯৯ নাম শিখবে।
- ইসলামি সাধারণ জ্ঞান শিখবে।
৩। হিফয ও শুনানী বিভাগ।
এই বিভাগে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে পর্যায়ক্রমে পবিত্র কুরআনের ৩০ পারা সম্পর্ণ হিফয করানো হয়। হিফয শেষে শুনাণী বিভাগে উত্তীর্ণ হয় এবং পর্যায়ক্রমে ৩০ পারা কুরআন মুখস্থ শোনা হয়। শুনানীতে অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে হিফয শেষ করা শিক্ষার্থীরা শুনাতে পারে। এই বিভাগে ছাত্রদের পড়ার শুদ্ধতার মানবৃদ্ধি, দ্রুত কুরআন খতম, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের প্রস্তুতি সহ আঞ্চলিক ও জাতীয় বিভিন্ন হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের ব্যবস্থা করা হয় । (ইনশাআল্লাহ)
অর্জিত শিখনফল:
- পবিত্র কুরআন ৩০ পারা হিফয করবে।
- তাজভীদ সহ সুন্দর লেহানে সহীহ তিলাওয়াত করবে।
- হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত হবে।
- সালাতে ইমামতি ও জানাজা সহ সকল সালাতের নিয়ম শিখবে।
- জরুরী মাস'আলাহ ও মাসায়েল শিখবে।
- দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত দোয়া সমূহ শিখবে।
- সালাত আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় দোয়া ও তাজবীহ সমূহ শিখবে।
- বিষয় ভিত্তিক প্রয়োজনীয় হাদিস অর্থসহ শিখবে।
- বিষয়ভিত্তিক প্রয়োজনীয় কুরআনের আয়াত অর্থসহ শিখবে।
- আল্লাহর গুণবাচক ৯৯ নাম শিখবে।
- ইসলামি সাধারণ জ্ঞান শিখবে।
প্রতিটি বিভাগে শিক্ষার্থীকে কুরআনের পাশাপাশি জেনারেল বিভাগে শ্রেণি ভিত্তিক বাধ্যতামূলক লেখাপড়া করতে হবে। হিফযুল কুরআন বিভাগকে মোট ৫ টি ভাগে বিভক্ত করে পড়ানো হয় :
জেনারেল বিভাগ: এই বিভাগ প্রচলিত জেনারেল শিক্ষা। এখানে প্লে-গ্রুপ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস রয়েছে। এই বিভাগে তিনটি শাখা রয়েছে। ক. জুনিয়র শাখা, খ. প্রাইমারী শাখা। গ. নিম্ন মাধ্যমিক শাকা। জুনিয়র শাখায় প্লে-গ্রুপ থেকে কেজি শ্রেণি পর্যন্ত, প্রাইমারী শাখায় প্রথম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত এবং নিম্ন মাধ্যমিক শাখায় ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত। পর্যায়ক্রুমে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত উন্নিত করা হবে ইনশাআল্লাহ।