"তাযকীরুল কুরআন একাডেমি"র শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের জন্য নানা রকম সুবিধা রয়েছে। সেই সব সুবিধা নিযে আপনার সন্তাকে এখানে পড়ানোর মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।
আবাসিক সুবিধা:
অনাবাসিক সুবিধা:
ডে-কেয়ার সুবিধা:
ক. আবাসিক সুবিধা: যারা রংপুর শহরের ভিতরেই একটু দুরে, শহরের বাহির বা দেশের যেকোন জেলায় অবস্থান করেন না কেন, আপনি আপনার সন্তানের নৈতিকতা সম্পন্ন সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য আমাদের আবাসিক ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীকে ভর্তি করে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। কারণ প্রচলিত মাদরাসা গুলোর মত নয় বরং আধুনিক মানের উন্নত আবাসিক ব্যবস্থাপনা রয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে- প্রতিটি রুমে সর্বোচ্চ ৪/৫ জনের থাকার ব্যবস্থা, পৃথক পৃথক খাট, কমন ও এটাষ্ট বাথরুম, পৃথক ডায়েনিং রুমে চেয়ার টেবিলে খাবারের সুন্দর পরিবেশ, ও ৩ বার মানসম্মত পূর্ণ খাবার ও ১ বার (আসরের পর) নাস্তার ব্যবস্থা। আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য জেনারেল ক্লাসের বাইরে আবাসিক শিক্ষক এর তত্ত্বাবধানে ক্লাসের পড়াসহ অতিরিক্ত লেখাপড়ার বিশেষ ব্যবস্থা। নৈতিক মানো্ন্নয়নের জন্য শিক্ষক ও অন্যান্য দায়িত্বশীলগনের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক তদারকি।
সার্বক্ষণিক সিসিটিভির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ও বিনা অনুমতিতে ভবনের বাহিরে না যাওয়ার জন্য গার্ড এর দ্বারা গেট নিয়ন্ত্রণ। মাসিক ছুটির ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীর সহিত মোবাইলে অভিভাবকের যোগাযোগ ও কথা বলা ব্যবস্থা। ১ম শ্রেণি হতেই আপনি আপনার ছেলেকে আবাসিক রেখে পড়াতে পারবেন।
২. অনাবাসিক সুবিধা: প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়ায় কোন সমস্যা না হলে এবং সময়মত শিক্ষার্থীর প্রতিষ্ঠানে আগমন ও প্রস্তান নিশ্চিত করতে পারলে আপনি নিতে পারেন অনাবাসিক সুবিধা। অনাবাসিক থেকেও আপনি আমাদের প্রতিষ্ঠানে আপনার সন্তানকে ভর্তির করে আমাদের উন্নত কারিকুলাম, ও নৈতিকতা সমৃদ্ধ ব্যবস্থাপনায় আপনার সন্তানকে পড়াতে পারবেন। আপনার সন্তান আপনার সাথে রেখেও আমাদের প্রতিষ্ঠানে পড়তে পারবে। শুধু নির্ধারিত সময়গুলোতে ক্লাসে দিতে হবে এবং নিতে হবে। তখন আপনি স্বল্প খরচেই আপনার সন্তানকে আমাদের প্রতিষ্ঠানে পড়াতে পারবেন। ভর্তির আগে নিয়ম-কানুনগুলো প্রতিষ্ঠানে বসে বিস্তারিত শুনুন এবং আপনার সন্তানের নৈতিকতা সমৃদ্ধ সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন।
৩. ডে-কেয়ার সুবিধা: যারা রংপুর শহরের ভিতরেই একটু দুরে অবস্থান করেন, চাকুরী, ব্যবসা ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, সন্তানকে বার বার প্রতিষ্ঠানে দেওয়া, বাসায় নেওয়া, বা বাসায় কেউ থাকেন না, বাসায় আপনার কথা শোনে না, পড়া লেখা ঠিক মত করে না ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছেন, বাচ্চাকে হাফেয বানানোর পাশা-পাশি জেনারেণ শিক্ষা দিতে আগ্রহী কিন্তু উপরোক্ত সমস্যাগুলোর কারণে সম্ভব হচ্ছে না। সেই সকল অভিভাবকগনের জন্য আমাদের বিশেষ আয়োজন। ডে-কেয়ার ব্যবস্থাপনা। আপনি আপনার সন্তানের নৈতিকতা সম্পন্ন সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য আমাদের ডে-কেয়ার ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীকে ভর্তি করে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। কারণ প্রচলিত মাদরাসা গুলোর মত নয় বরং আধুনিক মানের উন্নত আবাসিক ব্যবস্থাপনা রয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে- প্রতিটি রুমে সর্বোচ্চ ৪/৫ জনের থাকার ব্যবস্থা, পৃথক পৃথক খাট, কমন ও এটাষ্ট বাথরুম, পৃথক ডায়েনিং রুমে চেয়ার টেবিলে খাবারের সুন্দর পরিবেশ, ও ২ বার স্বাস্থ্যসম্মত পূর্ণ খাবার ও ১ বার (আসরের পর) নাস্তার ব্যবস্থা। নৈতিক মানো্ন্নয়নের জন্য শিক্ষক ও অন্যান্য দায়িত্বশীলগনের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক তদারকি।
সার্বক্ষণিক সিসিটিভির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ও বিনা অনুমতিতে ভবনের বাহিরে না যাওয়ার জন্য গার্ড এর দ্বারা গেট নিয়ন্ত্রণ। ১ম শ্রেণি হতেই আপনি আপনার সন্তানকে ডে-কেয়ার শাখায় রেখে পড়াতে পারবেন।
শিক্ষা ব্যবস্থা:
আমরা পরিকল্পনাগুলো ৩টি পৃথক বিভাগের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে থাকি:
১. হিফযুল কুরআন বিভাগ
২. জেনারেল বিভাগ।
৩. সাংস্কৃতিক বিভাগ
১. হিফযুল কুরআন বিভাগ:
হিফযুল কুরআন বিভাগে মোট ৩টি শাখায় পড়ানো হয়।
১। নূরাণী (কুরআন ও তাজবীদ বিভাগ)
২। নাযেরা (দ্রুত পঠন বিভাগ)
৩। হিফয ও শুনানী বিভাগ।
২. জেনারেল বিভাগ:জেনারেল শিক্ষা, আল-কুরআন ও ইসলামি শিক্ষার অপূর্ব সমন্বয়। জেনারেল শিক্ষা ব্যবস্থায় প্লে-গ্রুপ থেকে কেজি গ্রুপ পর্যন্ত নিজস্ব কারিকুলাম ও প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক পরিচালিত আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রম।
৩. সাংস্কৃতিক বিভাগ
পশ্চিমা ও পাশ্চাত্য আমাদের ধর্মীয় সাংস্কৃতি, পোশাকের সাংস্কৃতি, বিনোদনের সাংস্কৃতিক সহ জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে যেভাবে আগ্রাসন চালিয়েছে- তাতে সুস্থ্য সাংস্কৃতি বলতে আমাদের সমাজে অবশিষ্ঠ কিছু নেই। আছে শুধু নোংরা, পচাঁ, অচল কিছু অপসংস্কৃতি। যা কেড়ে নিয়েছে আমাদের, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক মান-মর্যাদা। সমাজকে উপহার দিয়েছে, অসম্মান, অপমান আর লাঞ্চনার গ্লানিভরা ক্ষণ। এই সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে মুক্তির জন্যও প্রয়োজন সুস্থ্য সংস্কৃতির চর্চা। সুস্থ্য সংস্কৃতির চর্চার পরিবেশ তৈরি করার সামগ্রিক প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে।
হিফযুল কুরআন ও জেনারেল বিভাগের সমন্বয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। হিফযুল কুরআন ও জেনারেল শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য পৃথক ক্লাসরুম, পৃথক শিক্ষক মন্ডলী, পৃথক ক্লাস রুটিন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বিস্তারিত জানতে আমাদের অন্যন্য পোষ্টগুলো পড়ুন।