الرحمن الرحيم بسم الله
"তাযকীরুল কুরআন একাডেমি" কি? এবং কেন?
'اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ
"পড় তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন"
এই আয়াত কে সামনে রেখে-"তাযকীরুল কুরআন একাডেমি" ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি এখন "দ্যা হলি কুরআন ফাউন্ডেশন" কর্তৃক পরিচালিত একটি ক্যাডেট মাদ্রাসা, প্রতিষ্ঠানটি প্রচলিত শিক্ষাসহ বিশ্বমানের হিফয শিক্ষা দিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি ৭ম বছর শেষ করে ৮ম বছরে যাত্রা শুরু করল। যেখানে প্রচলিত শিক্ষার পাশা-পাশি হিফযুল কুরআন বিভাগ রয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনামের সহিত উন্নত মানের কারিকুলাম ও মানসম্মত সাধারণ শিক্ষার সাথে সমন্বয় করে মহাগ্রন্থ আল কুরআন কৃতিত্বের সাথে হিফয সম্পন্ন করেছে অনেকে। তাযকীরুল কুরআন একাডেমি; হিফয পড়ার পাশা-পাশি জেনারেল বিভাগের লেখাপড়া সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা দিয়ে থাকে।যা অন্য যে কোন জেনারেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার সমপর্যায়ের শিক্ষা/ মানের শিক্ষা। আমরা বিশ্বাস করি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী, উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে হিফয পড়ার পাশা-পাশি সাধারণ শিক্ষা কোন প্রতিবন্ধকতা থাকে না, কোন সমস্যা হয় না সেটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে- তাযকীরুল কুরআন একাডেমি। তবে এজন্য প্রয়োজন শিক্ষার্থীর মেধা ও ইচ্ছাশক্তি, সাথে থাকতে হবে পিতা-মাতার দায়িত্বশীল ভূমিকা। সবকিছুর সমন্বয় হলে এটি সম্ভব ইংশাআল্লাহ।
পশ্চিমা ও পাশ্চাত্য আমাদের ধর্মীয় সংস্কৃতি, পোশাকের সংস্কৃতি, বিনোদনের সংস্কৃতি সহ জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে যেভাবে আগ্রাসন চালিয়েছে- তাতে সুস্থ্য সাংস্কৃতি বলতে আমাদের সমাজে অবশিষ্ঠ কিছু নেই। আছে শুধু নোংরা, পচাঁ, অচল কিছু অপসংস্কৃতি। যা কেড়ে নিয়েছে আমাদের, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক মান-মর্যাদা। সমাজকে উপহার দিয়েছে, অসম্মান, অপমান আর লাঞ্চনার গ্লানিভরা ক্ষণ। এই সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে মুক্তির জন্যও প্রয়োজন সুস্থ্য সংস্কৃতির চর্চা। সুস্থ্য সংস্কৃতির চর্চার পরিবেশ তৈরি করার সামগ্রিক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে তাযকীরুল কুরআন একাডেমি।
জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দক্ষতার জগতে একবিংশ শতাব্দীকে চ্যালেঞ্জ করতে হলে ধর্মীয় শিক্ষার সংগে সাধারণ শিক্ষার প্রয়োজনের কথা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। সাধারণ শিক্ষা ব্যতিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগে প্রবেশের কোন সুযোগ নেই। আবার এটিও সত্য যে- সাধারণ শিক্ষার সাথে ধর্মীয় শিক্ষা না থাকলে শিক্ষার পরিপূর্ণতা, জীবনের সফলতা, পরকালীন মুক্তির সকল পথ থাকবে রুদ্ধ।
তাই “তাযকীরুল কুরআন একাডেমি” উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ তৈরি, মানসম্মত কারিকুলাম প্রস্তুত, দক্ষ শিক্ষকমন্ডলীর দ্বারা পাঠদানের মাধ্যমে শিক্ষার পরিপূর্ণতা, দুনিয়ার জীবনের সফলতা ও আখিরাত জীবনের মুক্তির পথ প্রশস্ত করার প্রয়াস নিয়ে এগিয়ে চলছে আলহামদুলিল্লাহ। এই পথ চলায় আপনাকে সঙ্গী হবার আহ্বান জানায় তাযকীরুল পরিবার।
সন্তান মানব জীবনের এক অমূল্য সম্পদ, মহান আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত। এই নেয়ামতের সঠিক শুকরিয়া আদায় ও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সন্তানের নৈতিক ও দ্বীণি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শ্রষ্ঠার সাথে পরিচয় করানো পিতা-মাতার অনন্য দায়িত্ব। এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের অংশিদার হতে চায় “তাযকীরুল কুরআন একাডেমি”।
দায়িত্বপালনে আপনাদের সহযোগী হতে আমরা কিছু স্বল্প মেয়াদি এবং কিছু দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে এগিয়ে যাচ্ছে। এই কাফেলায় আপনাকে স্বাগত।