শিক্ষার উর্বর ভুমি রংপুর অঞ্চল। এখানে প্রচলিত শিক্ষার অনেক ভালমানের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষার জন্য রয়েছে অনেক মাদরাসা-মক্তব। মাদরাসা শিক্ষা দু-ভাগে বিভক্ত। একদিকে হিফয ও কওমি ধারার শিক্ষা ব্যবস্থা অন্য দিকে শিক্ষা অধিদপ্তর পরিচালিত প্রচলিত আলিয়া মাদরাসা শিক্ষা। আমাদের দেশের হিফয ও কওমি শিক্ষা ব্যবস্থায় পর্যাপ্ত কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু প্রচলিত শিক্ষার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই এবং বাংলাদেশের কোন শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক নিবন্ধিত বা প্রদত্ত কোন সনদ এর ব্যবস্থা না থাকায় দেশে কিংবা বিদেশে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। অপর দিকে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক পরিচালিত আলিয়া মাদরাসার ক্বারিকুলামে প্রচলিত শিক্ষার সাথে কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক পর্যাপ্ত ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও পবিত্র কুরআনের হাফেয হবার কোন ব্যবস্থা নেই।
পবিত্র কুরআনের হাফেয এর যথেষ্ট গুরুত্ব ও মযার্দা রযেছে দুনিয়া ও আখিরাতে। হিফযের পাশা-পাশা প্রচলিত শিক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় এই মর্যাদা অর্জন করতে গিয়ে অনেকে তাদের সম্ভবনাময় ভবিষ্যৎকে নষ্ট করে ফেলে এবং উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা থেকে বঞ্চিত হয়। আমাদের মনে রাখতে হবে- আধুনিক বিশ্বের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে চলার জন্য কুরআন হাদিসের জ্ঞানের সঙ্গে পর্যাপ্ত জাগতিক জ্ঞানের যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের এটিও মনে রাখতে হবে যে- ধর্মীয় ও জাগতিক জ্ঞানের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে ব্যর্থ হলে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য অর্জন হবে না।
তাই শিক্ষার পূর্ণ লক্ষ্য অর্জনের জন্য উপযুক্ত শিক্ষকের দ্বারা উন্নত শিখন কৌশল প্রয়োগ করে একটি ইসলামিক পরিবেশে হিফযুল কুরআনের পাশা-পাশি প্রচলিত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে আপনার সন্তানকে একজন পরিপূর্ণ দা-ঈ ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের সামগ্রীক প্রচেষ্টা শুধু আনষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য নয় বরং পাঠ্যক্রমের পাঠ্য অনুযায়ী সর্বোত্তম নৈতিক আচরণ, ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি এবং শৃঙ্খলার দিকে শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্বকে উজ্জীবিত করা।